সঠিক ও কার্যকরভাবে পড়াশোনা করার বা কোন কিছু শেখার জন্য সেরা দুটি বিজ্ঞানসম্মত টেকনিক হচ্ছে অ্যাক্টিভ রি'কল (Active Recall) এবং স্পেসড রিপিটেসন (Spaced Repetition)। নতুন কিছু শেখা, মনে রাখা, পরীক্ষার আগে রিভিশন দেয়া কিংবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য এই উপায় দুটো খুবই কার্যকর। এবং এই পদ্ধতিগুলো সব ধরনের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য।
অ্যাক্টিভ রি'কল পদ্ধতি হচ্ছে যার মাধ্যমে কোন কিছু কার্যকর ভাবে মনে করার চেষ্টা করা হয়। অন্যভাবে বললে মস্তিষ্ককে মনে করিয়ে দেয়া কোন জিনিসগুলো মনে রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে স্পেসড রিপিটেসন হচ্ছে যা মনে রাখতে হবে সেটা বারবার করতে থাকা।
প্রতিদিনের পড়াশোনার রুটিনে এই দুই মূলনীতির অনুসরণ করলে আপনি সঠিক এবং কার্যকর উপায়ে লেখাপড়া করতে পারবেন। নিচে এমন কিছু কৌশলের কথা বলা হলো যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি নতুন কিছু দ্রুত শিখতে ও মনে রাখতে পারবেন।
11
Tasks
১. কোনো বিষয়ে পড়া শেষ হবার পর, তৎক্ষণাৎ নিজেকে ওই বিষয়ের উপর প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন বা কুইজ নিন। অর্থাৎ নিজের পড়া যাচাই করে নিন।
Once
২. কোনো বিষয়ে পড়া বা শেখা সম্পন্ন হয়ে গেলে, বই বন্ধ রেখে খাতায় ঐ বিষয়ে আপনি যা শিখেছেন সেটা মনে করে সংক্ষেপে লিখে ফেলার চেষ্টা করুন।
Once
৩. কোনো কিছু শেখার সময় যখন নোট করবেন, তখন সেটিকে প্রশ্ন আকারে লিখুন। যেমন" কোনো অবস্থা বা সংজ্ঞা হলে সেটিকে "what", কোনো পদ্ধতি হলে "how" ইত্যাদি। পরবর্তীতে নোট পড়ার সময় লিখে রাখা প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন।
Once
৪. আপনার নোটে যে প্রশ্নগুলো রয়েছে, ক্লাস শেষে সেগুলো নিজের মনে মনে বা খাতা কলমে লিখে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন ।
Daily 1x
৫. কোন কিছু শেখা হয়ে গেলে সেটি ভালোভাবে মনে রাখার জন্য, অন্য কাউকে (বন্ধু বা ক্লাসমেট) শেখান। প্রয়োজনে এ জন্যে স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নিন এবং সে অনুযায়ী শেখানোর চেষ্টা করুন।
Once
৬. ক্লাস শেষে একটি কাগজে ঐ ক্লাসে আপনার মাথায় আসা কন্সেপ্টগুলো লিখে ফেলুন এবং সেগুলো ম্যাপ আকারে সাজিয়ে নিন। কোন কনসেপ্ট কিভাবে এলো, একটির সাথে অপরটির কি সম্পর্ক এগুলো চিত্রাকারে এঁকে রাখুন।
Daily 1x
৭. পড়া মনে রাখার জন্য ডিজিটাল ফ্ল্যাশকার্ড টেকনিক (Digital flash card) বা ম্যানুয়াল ফ্ল্যাশকার্ড টেকনিক (Manual flash card) ব্যবহার করুন ।
Once
৮. গানিতিক সমস্যা বা ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যার সমাধানে এমন বই বা রিসোর্স ব্যবহার করুন যেখানে প্রশ্নের পাশাপাশি উত্তর আলাদা আলাদা শ্রেণীতে ভাগ করা দেয়া থাকে। যাতে আপনি নির্দিষ্ট ধরনের সমস্যা আলাদাভাবে সমাধান করার চেষ্টা করতে পারেন, তাতে বিফল হলে দ্রুত উত্তর দেখে নিয়ে আবার সমাধানের চেষ্টা করুতে পারেন।
Once
৯. যখন কোনো গানিতিক সমস্যার সমাধান করবেন, তখন লেখা শুরুর পুর্বে সেটিকে আপনার মস্তিষ্কে ধাপে ধাপে সাজিয়ে নিন। এতে আপনি সমস্যার সমাধানে কিভাবে আগাবেন সেটা নির্নয় করা সহজ হয়ে যাবে।
Once
১০. নিজের শেখা যাচাইয়ের জন্যে মাঝে মাঝে নিজের প্র্যাকটিস টেস্ট নিন, যেখানে সব একই ধরনের প্রশ্ন না থেকে নানান ধরনের প্রশ্ন থাকবে। এভাবে আপনি এক সেশনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমধান করতে শিখবেন।
Weekly 1x
১১. পরীক্ষা নেবার সময় চেষ্টা করুন নিজের আশেপাশের পরিবেশ আসল পরীক্ষার মত রাখতে।