ইসলামের পরিভাষায় রোযা হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার পানীয় ও যৌনমিলন থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাতের কৃষ্ণরেখা থেকে উষার শুভ্ররেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের কাছে প্রতিভাত না হয়। অতঃপর রাত আসা পর্যন্ত রোজা পূর্ণ কোরো। ’ -সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭
রমযান মাসের রোযা প্রাপ্তবয়স্ক সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর ফরয। রমযানের দিন রোযা রেখে ইচ্ছাকৃত এই কাজগুলোর কোনোটি করলে রোযা ভেঙে যাবে, রোযাটির কাযা করতে হবে, কাফফারাও দিতে হবে। অর্থাৎ ওই রোযাটির পরিবর্তে আরেকটির রোযা রাখার পাশাপাশি একটি গোলাম আজাদ করতে হবে, ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে আহার করাতে হবে অথবা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখতে হবে। এ ছাড়া আরও কিছু কারণে রোযা ভেঙে যায়, কিন্তু শুধু কাযা ওয়াজিব হয়, কাফফারা দিতে হয় না।
যে সব কারণে রোযা ভেঙে যায় :
7
Tasks
১. কেউ যদি ইচ্ছা করে রমজান মাসের দিনের বেলা যৌনমিলন করে অথবা পানাহার করে, তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। কাযা করতে হবে, কাফফারাও দিতে হবে।
Once
২. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পরবর্তী ঋতুস্রাবের সময় রোযা রাখা নিষিদ্ধ। রোযাদার অবস্থায় মাসিক শুরু হলে অথবা সন্তানের জন্ম হলে রোযা ভেঙে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই রোযা কাযা করে নিতে হবে।
Once
৩. ইচ্ছা করে বমি করলে রোযা ভেঙে যাবে, বমি মুখে চলে আসর পর ইচ্ছাকৃত তা গিলে ফেললে রোযা ভেঙে যাবে, শুধু কাযা করতে হবে।
Once
৪. রমযান মাসের দিনের বেলা ইসলাম ত্যাগ করলে বা মুরতাদ হয়ে গেলে তার রোযা ভেঙে যাবে। ইসলামে আবার ফিরে আসলে ওই রোযাটি কাযা করে নিতে হবে।
Once
৫. কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে, রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে, ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে, রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে অথবা ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে রোযা ভেঙে যাবে, কাযা করে নিতে হবে।
Once
৬. রোযা থাকার কথা ভুলে গিয়ে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙবে না। তবে ভুলবশত খাওয়ার পর রোযা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে রোযা ভেঙে যাবে, পরে কাযা করে নিতে হবে।
Once
৭. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে, কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে রোযা ভেঙে যাবে, পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে।