ইখলাস আমল কবুল হবার প্রথম শর্ত। ইখলাস মানে একনিষ্ঠতা, কোনো আমলের উদ্দেশ্য হওয়া শুধুই আল্লাহর সন্তুষ্টি, রিয়া বা লৌকিকতা না থাকা। আমলের নিয়ত শুদ্ধ থাকা। আল্লাহ আমাদের সকল কাজের প্রকাশ্য ও গোপন উদ্দেশ্য জানেন এবং এই উদ্দেশ্যগুলো কেয়ামতের দিন প্রকাশ করা হবে। শুধু সেই আমলগুলোরই যথাযথ সওয়াব পাওয়া যাবে যেগুলোতে ইখলাস ছিল যথাযথ।
চলুন জেনে আসি কীভাবে আমরা ইখলাস অর্জন করতে পারি :
6
Tasks
১. আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে উন্নত করার চেষ্টা করুন। ইমাম আল-গাজ্জালী এ বিষয়ে বলেছেন যে, ইখলাসের প্রথম ধাপ হচ্ছে কারো গোপন ব্যক্তিগত অবস্থা ও প্রকাশ্য অবস্থা একই রকম হওয়া।
Daily 1x
২. এই দোয়া পড়ুন :
الَّلهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وأَنا أَعلَمُ وأَستَغفِرُكَ لما لا أَعلَمُ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি সজ্ঞানে শিরক করা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই। (ইবনুস সুন্নী)
Daily 1x
৩. নিজের ভালো কাজগুলো গোপন রাখার চেষ্টা করুন। আল্লাহ বলেন, “যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান কর তবে তাও উত্তম, আর যদি তোমরা তা গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদেরকে দান কর, তবে তা তোমাদের জন্য আরো উত্তম, অধিকন্তু তিনি তোমাদের কিছু গুনাহ মোচন করে দেবেন। আর যা কিছু তোমরা করছ, আল্লাহ তার খবর রাখেন।” -সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ২৭১
Daily 1x
৪. অহংকার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। নিজের করা মহৎ কাজগুলোকে ছোট করে দেখার চেষ্টা করুন। ভালো কাজ করে সেগুলোর জন্যে নিজেকে মহান না ভেবে এগুলো শুধু আল্লাহ্র অনুগ্রহ প্রাপ্তির জন্যে করা তা স্মরণ করুন।
Daily 1x
৫. আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করুন যেন আপনার ভালো কাজগুলো শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়। নিজের ভালো কাজের জন্য গর্ব করা থেকে বিরত থাকুন। আল্লাহ বলেন, “তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। কে তাকওয়া অবলম্বন করেছে, সে সম্পর্কে তিনিই সম্যক অবগত।” -সূরা আন-নাজম, আয়াত: ৩২
Daily 1x
৬. প্রশংসা থেকে দূরে থাকুন। মানুষের প্রিয় ও ভালোবাসার পাত্র হবার চেষ্টা করুন। সব সময় অহংকার থেকে দূরে থাকুন। কারণ এই দুনিয়ায় আমাদের উন্নত মর্যাদা আল্লাহর কাছে আমাদের মর্যাদা উন্নত হওয়ার প্রমাণ নয়। আল্লাহ বলেন, “তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে এবং সালাত কায়েম করতে ও যাকাত প্রদান করতে; এটাই সু-প্রতিষ্ঠিত ধর্ম।” -সূরা বায়্যিনাহ, আয়াত : ৫