শিশুরা যখন তাদের রাগ নিয়ে আমাদের কাছে আসে, অনেক সময় তখন আমরা নিজেদের মেজাজ ঠিক রাখতে পারি না। এক-দুইবার বোঝানোর পর আমরা তাদের উপর রেগে যাই। বকাঝকা করি কিংবা মারধোর করে ফেলি। কিন্তু এতেশিশুটি তার ভুলটি কি ছিলো সেটা শিখতে পারে না।
আবার অনেক সময় শিশুদের কান্না থামানোর জন্য আমরা হাল ছেড়ে দিয়ে তাদের চাওয়া মিটিয়ে দিই। এতে শিশুরা শিখে ফেলে যে, কান্না করলেই যে কোনো আবদার মানিয়ে নেয়া যায়।
এ ধরনের সমস্যার সমাধানে কিছু সহজ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। যে নিয়মগুলো অনুসরণ করলে সহজেই শিশুর দুর্ব্যবহার সামলানো সম্ভব হবে। তবে ব্যাপারটা এমন নয় যে, নিয়মগুলো মানা শুরুর সাথে সাথেই কাজ করা শুরু করবে। বরং নিয়মিতভাবে এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
6
Tasks
১. শিশুর রাগ/ জেদ বা দুষ্টুমিতে রেগে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। শিশুদের এ ধরনের আচরণে নিজেকে শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত রাখার অভ্যাস তৈরি করুন।
Once
২. আপনার শিশুকে নিজের সামনে বসিয়ে তার চোখে চোখ রেখে বোঝানো শুরু করুন। নিজের কন্ঠস্বর ও দেহভঙ্গিতে কোমলতা ও আবেগ বজায় রাখুন। এতে শিশুরা কথা শুনতে ও অনুগত হতে বাধ্য হবে।
Once
৩. শিশুর অনুভূতিকে মূল্যায়ন করতে শিখুন। তাকে এই ব্যাপারটি বোঝানোর চেষ্টা করুন যে তার রাগ বা মন খারাপের ব্যাপারটি আপনি মা/বাবা হিসেবে বুঝতে পারছেন।
Once
৪. নিজের অনুভূতি আপনার শিশুর কাছে প্রকাশ করুন। তার দুর্ব্যবহারের কারণে মা/বাবার মন খারাপ হয়েছে এটি তাকে সরাসরি কোমলভাবে বলুন।
Once
৫. আপনার শিশুকে কাঙ্খিত ব্যবহার শেখান। (যেমনঃ শিশুকে বুঝিয়ে বলা যে, চকলেট পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে, চিৎকার করা যাবেনা। অথবা, বলতে হবে “মা / বাবা প্লিজ দাও”)
Once
৬. শিশুদের উদ্দেশ্যে প্রশংসামূলক কথা বলুন। যেন সে / তারা বুঝতে পারে যত ভুলই হোক মা/বাবা তাকে ভুল বুঝবে না।