রমযান মাসে সাহরি ও ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরী। অনেকেই রমযান মাসে অস্বাস্থ্যকর ভাজা পোড়া খাবার খান, শরবতের সাথে আর্টিফিশিয়াল চিনি খান। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সুস্থ থেকে সারা মাস রোযা রাখার জন্য আমাদের খুবই সচেতন থাকতে হবে খাবার দাবারের ব্যাপারে।
রমযানের ডায়েট প্ল্যান :
11
Tasks
১. ইফতার শুরু করুন খেজুর দিয়ে, খেজুরে ন্যাচারাল সুগার, ফাইবার ও নানা ধরণের খনিজ পদার্থ রয়েছে।
Daily 1x
২. পানি, ফলের রস অথবা ডাবের পানি খান। চিনি মেশানো শরবত খাবেন না।
Daily 1x
৩, বিভিন্ন ধরনের ফল ফলাদি খান। নানা ধরনের ফলে নানা ধরনের পুষ্টি থাকে। তাই পরিবর্তন করে করে সব রকম ফলই খান।
Daily 1x
৪. ডুবো তেলে ভাজা খাবার পুরোপুরি পরিহার করুন যেমন বেগুনি, আলুর চপ, পেঁয়াজু, জিলাপি, বুনদিয়া ইত্যাদি।
Daily 1x
৫. খেজুর, পানি ও অন্যান্য ফলমুল খেয়ে কিছুক্ষণ বিরতি দিন। নামায পড়ুন বা কিছুক্ষন হাঁটাহঁাটি করুন।
Daily 1x
৬. ইফতারের কিছুক্ষণ পর রাতের খাবার খেয়ে ফেলুন। রাতের খাবারের প্লেটটিকে মনে মনে চার ভাগে ভাগ করুন। অর্ধেক প্লেট নেবেন সবজি বা ফলমূল, চারভাগের এক ভাগ নেবেন লাল চালের ভাত বা লাল আটার রুটি, বাকি চার ভাগের এক ভাগ নেবেন মাছ, মাংস বা ডাল অর্থাৎ প্রোটিন জাতীয় খাবার।
Daily 1x
৭. সবজি বা মাছ মাংস রান্নায় যেন অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা না হয়। ট্র্যান্সফ্যাট নেই এ রকম তেল যেমন অলিভওয়েল ব্যবহার করা ভালো। ট্রান্সফ্যাট শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
Daily 1x
৮. ইফতারের পর রাতের বাকি সময়টায় প্রচুর পানি খান। কমপক্ষে দশ গ্লাস বা আড়াই লিটার পানি এই সময়ের মধ্যে খেতে হবে। পানির পাশাপাশি পানি জাতীয় অন্যান্য খাবার যেমন তরমুজ, শশা ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন। চা কফি দিয়ে পানিশূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করবেন না।
Daily 2x
৯. সাহরিতে এমন খাবার খান যা অনেকক্ষণ পেটে থাকে। যে খাবারে ফাইবার বেশি, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। সাহরিতে লাল চালের ভাত, বাদাম, কলা, আপেল, কমলা, সিদ্ধ ডিম, ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন। অতিভোজন করবেন না।
Daily 1x
১০. গ্যাসটিকের সমস্যা থাকলে খাবারের পরই শুয়ে পড়বেন না। খাটের একদিক একটু উুঁচু করে সেদিকে শুয়ে পড়ুন, যেন পেট থেকে মাথা কিছুটা ওপরে থাকে।
Daily 1x
১১. রোযার মধ্যেও ব্যায়াম অব্যাহত রাখুন। ইফতারের পর অন্তত আধাঘণ্টা দ্রুত গতিতে হাঁটুন, দৌড়াতে পারলে আরও ভালো।