অটিজমে আক্রান্ত শিশুর বিকাশে অভিভাবকের করণীয়

by virtunus health
Health
Published: 2 years ago
|Updated: 2 years ago
previewImage

অটিজম শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যা। এই সমস্যার কারণে শিশুর সামাজিক যোগাযোগ, সামাজিক আচরণে অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পায়। শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। অটিজম দ্রুত ভালো হয়ে যাওয়ার মতো কোনো চিকিৎসা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে অটিজমে আক্রান্ত শিশুর অবস্থার উন্নতি হয়। শৈশবে ব্যবস্থা নেওয়া গেলে অটিজম নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশু প্রাপ্তবয়সে অনেকটাই স্বাভাবিক হতে পারে। শৈশবে ব্যবস্থা নেওয়া মানে জন্মের ১৮ মাস থেকে ৩৬ মাস বয়সের মধ্যে অটিজম শনাক্তকরণ ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষা পরিকল্পনার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিশুকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া। অটিজমে আক্রান্ত শিশুর বিকাশে অভিভাবকের করণীয় :

6

Tasks

শিশুর সাথে বেশি বেশি করে কথা বলুন। শিশুকে আপনার চোখের দিকে তাকাতে ও ঠোঁটের নাড়াচাড়া অনুসরণ করতে সাহায্য করুন। শিশুকে ইশারা, ইংগিতের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে শেখান। প্রাথমিকভাবে দরকারী কিছু সহজ ও ছোট শব্দ শেখানোর জন্য নির্ধারণ করুন।

Daily 1x

শিশুকে প্রয়োজনীয় সামাজিক আচরণগুলি শেখান। হাসির জবাবে হাসা, সালাম করা, বিদায়সূচক হাত নাড়া ইত্যাদি স্বাভাবিক আচরণগুলোতে বার বার অনুশীলনের মাধ্যমে তাকে অভ্যস্ত করে তুলুন। সমবয়েসী ছেলেমেয়েদের সাথে তাকে মিশতে দিন। তাদের সাথে খেলতে ও ভাবের আদান প্রদান করতে শেখান।

Daily 1x

শিশুকে সব ধরনের সামাজিক পরিবেশ ও অনুষ্ঠানে নিয়ে যান। স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাওয়ার সময় তাকেও সাথে নিয়ে যান। খেলার মাঠে, পার্কে নিয়ে যান। শপিংয়ে যাওয়ার সময় তাকেও সাথে নিন। সংকোচবোধ করে তাকে লুকিয়ে রাখবেন না। এটা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। সব ধরনের পরিবেশে যেতে যেতে তার আচরণের অস্বাভাবিকতা কমে আসবে।

Daily 1x

অটিজম আক্রান্ত শিশুর বিশেষ কোন দক্ষতা থাকলে তাকে প্রশিক্ষণ ও সমর্থন দিয়ে বিকশিত করুন। যেমন, খেলনা বা বৈদ্যুতিক যন্ত্র খুলে তা লাগাতে পারা, কোন কিছু চট করে মুখস্থ করা বা ছবি আঁকতে পারা, গান গাইতে পারা ইত্যাদি।

Daily 1x

অন্যের বিরূপ সমালোচনা ও আচরণ থেকে শিশুকে রক্ষা করুন। নিজেও মারধোর, বকাঝকা, ভয় দেখানো বা তুুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না।

Daily 1x

কোনো কিছু শেখানোর সময় শিশুর ব্যর্থতার জন্য ধৈর্য্য হারাবেন না। ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যান। সফল হলে সমর্থনসূচক আচরণের মাধ্যমে উৎসাহ দিন। শিশু কাজটি করতে বা শিখতে পারলে তাকে পুরস্কার দিন। কিছু কিনে দিন বা বেড়াতে নিয়ে যান।

Daily 1x

Tags
avatar
virtunus health

0 Comments

Looking forward to your feedback