ইসলামে মাস হিসেবে রমযানের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা। এই মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিলো। এই মাসের কথা কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَهِدَ مِنۡکُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ
রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। -সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫
রমাযান মাসে যে কোনো ইবাদতের সওয়াবই বহুগুণ বেড়ে যায়। রমাযানের প্রত্যেকটি নফল ইবাদতের সওয়াব ফরজ ইবাদতের সমান। প্রতিটি ফরজ ইবাদতের সওয়াব হয় সত্তরটি ফরজ ইবাদতের সমান।
আসুন জেনে নেই পবিত্র রমযানের ৮টি সুন্নাহ :
8
Tasks
১. বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করুন। রমজান কুরআন নাযিলের মাস। এই মাসে রসূল সা.-এর কুরআন তিলাওয়াত অনেক বেড়ে যেতো। -বুখারী
Daily 2x
২. সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি বেশি দান সদকা করুন। রসূল সা. রমযান মাসে অনেক বেশি দান সদকা করতেন। ইবনে আব্বাস রা. বলেন, অন্যান্য মাসে রসূল সা. শ্রেষ্ঠ দানশীল ছিলেন। রমযানে তিনি অন্য সময়ের তুলনায়ও বেশি দান করতেন। -বুখারী
Daily 1x
৩. ইফতারের সময় হলে দ্রুত ইফতার করুন। রসূল সা. সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাযের আগেই ইফতার করতেন। -বুখারী, আবু দাউদ
Daily 1x
৪. ইফতারের সময় এই দোয়া পড়ুন :
ذهب الظمأ وابتلت العروق وثبت الأجر إن شاء الله
তৃষ্ণা নিবারিত হয়েছে, শিরা-উপশিরা পরিতৃপ্ত হয়েছে এবং বিনিময় নির্ধারিত হয়েছে ইনশাআল্লাহ। -সুনানে আবু দাউদ
Daily 1x
৫. শেষ রাতে সাহরি খেয়ে রোযা শুরু করুন। রসূল সা. বলেছেন, তোমরা সাহরি করো, সাহরিতে বরকত আছে। -সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম
Daily 1x
৬. রমজানের রাতগুলোতে দীর্ঘ সময় নিয়ে নামাযে দাঁড়ান। তারাবির নামায পড়ুন। রসূল সা. বলেছেন, যে ব্যাক্তি রমযানের রাতে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হয়। -সহিহ বুখারী
Daily 1x
৭. প্রতি নামাযের অযুর সময় মিসওয়াক করুন। রোযা রেখে মিসওয়াক করতে দ্বিধা করবেন না। রসূল সা. বলেছেন, যদি উম্মতের জন্য কষ্টকর হয়ে যাওয়ার ভয় না করতাম তাহলে প্রতি নামাযের সময় তাদেরকে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। -সহিহ বুখারী
Daily 2x
৮. রোযাদারদের ইফতার করান। মসজিদ বা গণইফতারে ইফতার পাঠান। রসূল সা. বলেছেন, যে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে সে তার সমান সওয়াব পাবে। রোযাদারের সওয়াবও কমবে না। -সুনানে তিরমিযি