রমযানে যৌনতা সংশ্লিষ্ট ৭টি বিধান

by Islamic Lifestyle
Religion
Published: 2 years ago
|Updated: 2 years ago
previewImage

পবিত্র রমযান মাসের দিনের বেলা রোযাদারদের জন্য পানাহারের মতো যৌনমিলনও নিষিদ্ধ। রোযা রেখে ইচ্ছাকৃত যৌনমিলনে লিপ্ত হয়ে গেলে রোযা ভেঙে যাবে, কাযা করতে হবে, কাফফারাও দিতে হবে। কিন্তু রমযান মাসের রাতের বেলা অর্থাৎ সূর্যাস্ত থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত যৌনমিলন করা যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, اُحِلَّ لَکُمۡ لَیۡلَۃَ الصِّیَامِ الرَّفَثُ اِلٰی نِسَآئِکُمۡ هُنَّ لِبَاسٌ لَّکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لِبَاسٌ لَّهُنَّ সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ। -সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭ রমযানে যৌনতা সংশ্লিষ্ট ৭টি বিধান :

7

Tasks

১. রমযানের দিনের বেলা যৌনমিলন থেকে বিরত থাকুন। যৌনমিলনে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেও দূরে থাকুন।

Once

২. রমযানের দিন সূর্যাস্ত থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত যৌনমিলন বৈধ। যৌনমিলনের পর গোসল করার আগেই সুবহে সাদিক হয়ে গেলেও রোযা হয়ে যাবে।

Once

৩. রোযা রেখে স্ত্রীকে চুমু খেলে, জড়িয়ে ধরলে, ইন্টারকোর্স ছাড়া অন্য যে কোনো রকম স্পর্শ করলে রোযা ভাঙবে না। তবে ইন্টারকোর্স হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এ রকম আচরণ থেকে দূরে থাকুন।

Once

৪. রোযা রেখে স্বপ্নদোষ হয়ে বীর্যপাত হলে রোযা ভাঙবে না।

Once

৫. রোযা রেখে হস্তমৈথুন করা পাপ। বীর্যপাত হলে রোযা ভেঙে যাবে, পরে কাযা করতে হবে, তবে কাফফারা দিতে হবে না। বীর্যপাত না হলে রোযা ভাঙবে না।

Once

৬. ইন্টারকোর্স ছাড়া চুমু, স্পর্শসহ অন্য যে কোনো যৌন আচরণের কারণে যদি বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলে রোযা ভেঙে যাবে এবং পরে কাযা করে নিতে হবে, তবে কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

Once

৭. রোযা রেখে এবং অন্য সব সময়ই পর্ন ভিডিও ও অশ্লীল দৃশ্য দেখা থেকে বিরত থাকুন। তবে এগুলো দেখে যদি ইচ্ছাকৃত কোনো কাজ ছাড়াই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলে রোযা ভাঙবে না।

Once

Tags
avatar
Islamic Lifestyle

0 Comments

Looking forward to your feedback