“আমার বাচ্চাটা খেতেই চায় না! কেমন শুকিয়ে যাচ্ছে! এভাবে চলতে থাকলে অসুস্থ হয়ে যাবে ও!”
মায়েদের মন সব সময়েই চিন্তিত থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার সন্তান কেন খেতে চাইছে না বা আদৌ তার ক্ষুধা আছে কিনা কিংবা এই না খেতে চাওয়া কি স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক, শিশুরা খেতে না চাইলে কী করবেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে BRB HOSPITALS LIMITED এর চিফ ডায়েটিশিয়ান ইশরাত জাহান মায়েদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়েছেন।
চলুন দেখে নেয়া যাক।
8
Tasks
নির্দিষ্টি সময় পর পর খাবার দিন। শিশুদের পাকস্থলি অন্তত ৩ ঘন্টা পরপর খাবার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়। ফলে শিশুর কখন ক্ষুধা লাগছে সেটি নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করার মাধ্যমে বের করুন। ৩ ঘন্টার আগে খাবার দিলে শিশু বমি করে ফেলে দিতে পারে বা খেতে না চাইতে পারে।
Once
শিশু কী ধরনের খাবার পছন্দ করে সেদিকে লক্ষ রাখুন। যেমন মিষ্টি জাতীয় খাবার যদি বাচ্চা পছন্দ না করে আর আপনি মিষ্টি খাবার জোর করে দিতে চান তাহলে সে খেতে চাইবে না বা খেলেও হয়ত বমি করে দিবে। সুতরাং, শিশুর পছন্দের খাবারের দিকে নজর রাখুন।
Once
খাবারের ধরন একঘেয়ে করে ফেলবেন না। খাবারে বৈচিত্র আনতে হবে। একই ধরনের খাবার বার বার দেয়া যাবে না। তিন ঘন্টা পর পর নতুন কোনো খাবার দিন।
Daily 5x
সকালে নাস্তার ২ বা ৩ ঘন্টা পরে একদিন ফলের কোনো আইটেম বা আরেকদিন জ্যুস কিংবা ফল দিয়ে বানানো কাস্টার্ড দিন। এতে খাবারে বৈচিত্র থাকবে, বাচ্চা আগ্রহ নিয়ে খাবে।
Daily 1x
এরপরের মিল হিসেবে মিক্সড সবজি দিন। সবুজ, লাল, কমলা, সাদা, হলুদ ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের সবজি হালকা সেদ্ধ করে তেলে ভেজে (Saute) দিতে পারেন। এতে বিভিন্ন রঙের কারণে শিশু খেতে আগ্রহ পাবে। সবজি সরাসরি খেতে না চাইলে পাকোরা করে দেয়া যেতে পারে।
Daily 1x
দুপুরের খাবারে মাছ দিন। দুপুরে খিচুরি, ভাত বা পোলাও দিতে পারেন। সাধারণ সময়ের চাইতে বাচ্চার জন্য রান্না করা খিচুরি বা পোলাওতে এক চা চামচ তেল বেশি দিন।
Daily 1x
সন্ধার খাবারে নুডুলস দিতে পারেন। নুডুলসের সাথে ডিম, সবজি দিতে হবে। তবে নুডুসলসের মশলা এতে মেশাবেন না। আরেকদিন হয়ত সবজি, ডিম দিয়ে বানানো স্যান্ডউইচ দিতে পারেন।
Daily 1x
রাতে ফল বা জ্যুস দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। রাতে ভারি খাবার দিন। সুজি, সাবু, সেমাই বা পুডিং থাকতে পারে। মিল্কশেক দেয়া যেতে পারে।