পৃথিবী আমাদের পরীক্ষার জায়গা। এখানে আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি কাজ গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি কাজের হিসাব আমাদের দিতে হবে, প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। সেই চূড়ান্ত সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের দিন আসার আগে নিজেই নিজের হিসাব নেওয়ার অভ্যাস করা উচিত। যেন আমাদের আমল সম্পর্কে আমরা সচেতন হতে পারি। প্রতিদিন কত গুনাহ হয়ে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল করতে পারি, নেক আমলের পরিমাণ বাড়াতে পারি।
অনেক সময় কিছু নেক আমল হয়তো আমরা করি। কিন্তু বদ আমলের কারণে নেক আমল নষ্ট হয়ে যায়, সওয়াব নষ্ট হয়ে যায়। নেক আমল করার পরে নেক আমল সংরক্ষণ করতে হয়। প্রতিদিন হিসাব নিকাশ করলে আমরা বুঝতে পারি কিছু নেক আমল যা করেছি, পরে আবার সেগুলোর সওয়াব নষ্ট করে ফেলেছি কি না। আমার সময়, শ্রম বৃথা গিয়েছে কি না।
তাই প্রতিদিন নিজের হিসাব নেওয়া উচিত। সকাল বিকাল অন্তত দশ মিনিট সময় নিয়ে চোখ বন্ধ করে নিজের প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া উচিত, নিজের কাছে জবাবদিহি করা উচিত।
২. নিজের ইলম, আমল ও ইহসানের হিসাব নিন। ভাবুন আজ দীন ও ঈমান সম্পর্কে কতটুকু জানতে পারলেন, কী পরিমাণ মানতে পারলেন বা আমল করতে পারলেন। সেই আমল কতটা ইখলাস ও নিষ্ঠার সাথে করতে পারলেন, কতটা অন্তরের স্পর্শ ও অনুভূতির সাথে মিশিয়ে করতে পারলেন।
Daily 1x
৩. নেয়ামত ও মসিবতগুলোর কথা ভাবুন। মসিবতের তুলনায় নেয়ামত কত বেশি তা উপলব্ধি করুন। নেয়ামতগুলোর জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন। বিপদ ও মসিবতে ধৈর্য ধারণ করুন। আল্লাহর সাহায্য চান।
Daily 1x
৪. অপ্রাপ্তি বা মসিবতগুলোর কথা ভেবে সেগুলোকে আল্লাহর ফয়সালা ও নির্ধারণ হিসেবে মেনে নিন। আল্লাহর ফয়সালার ওপর সন্তুষ্ট হোন।
Daily 1x
৫. নেক আমলগুলোর মাধ্যমে আপনার অন্তর কতটা আলোকময় হলো তা চিন্তা করুন। আপনি আল্লাহর কতটা কাছে যেতে পারলেন ভাবুন। তার নৈকট্য অর্জন, তার পরিচয় লাভের মাধ্যমে জীবন ও জগত সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কতটা বদলেছে তা বোঝার চেষ্টা করুন।