বিশ্ব জুড়ে IELTS সবচেয়ে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাইকরণ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার ভালো করতে পারলে আপনি বিশ্বের ১৪০ টি দেশে পাড়ি জমাতে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন এবং ইংরেজি প্রধান যে কোনো দেশে সহজেই কথা বলতে পারবেন।
IELTS শেখা শুরু করার আগে আপনাকে কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। যেমন, আপনি কোন ধরনের IELTS পরীক্ষা দিতে আগ্রহী। IELTS পরীক্ষার দুইটি প্রধান ধরণ হচ্ছে -
১. IELTS Academic Module
২. IELTS General Training Module
IELTS এর এই দুইটি ভার্সনের উদ্দেশ্য ও পরীক্ষার ধরণ ভিন্ন। আপনার বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্য অনুযায়ী আপনাকে আগে থেকেই জেনে নিতে হবে যে আপনার কোন ধরনের IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ।
তবে যে IELTS পরীক্ষাই দিতে চান না কেন, এতে ভাল করার কোনো শর্টকাট বা গোপন কোনো পদ্ধতি নেই যা আপনাকে ২৪ ঘন্টায় এটার জন্য প্রস্তুত করে তুলবে। আপনাকেই এর জন্য প্রতিদিন একটু একটু করে সঠিক পদ্ধতিতে প্রস্তুতি নিতে হবে।
যাচাই করে দেখুন আপনি ইংরেজি দক্ষতার কোন স্টেজে আছেন!
ইংরেজি দক্ষতা যাচাইকরণ পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে সঠিক মার্কিং করে আপনি নিজের IELTS এর স্কেলে নিজের অবস্থান জেনে নিতে পারবেন। এতে শুধু মাত্র দক্ষতা যাচাই নয়, আপনি IELTS পরীক্ষার সাধারণ কিছু আইডিয়াও পেয়ে যাবেন।
এখন আপনি আপনার IELTS স্কোরের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে নিতে পারেন। আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন বা যে উদ্দেশ্য যেতে চাচ্ছেন, সেটার উপর আপনার IELTS স্কোরের লক্ষমাত্রা ঠিক করতে হবে।
আপনার যদি ইংরেজির বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে দক্ষতা ভাল থাকে, তাহলে প্রায় তিন মাসের মতো প্রিপারেশন যথেষ্ট। তবে বেসিক খুব একটা ভালো না থাকলে প্রায় ছয় মাস সময় নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিৎ।
শুরু করে দিন IELTS প্র্যাক্টিস!
Self-assessment এর পরে নিজের দুর্বলতা গুলো খুঁজে বের করুন। কোথায় আপনি দুর্বল, বা কোন কোন বিষয়গুলো নিয়ে আরও কাজ করা লাগতে পারে, সেগুলো নিয়ে প্ল্যান করে ফেলুন।
আমেরিকান লাইফ - এর একটি জরিপে দেখা গিয়েছে, গ্রাজুয়েশনের পরে ৪২% স্টুডেন্ট কোনো বই পড়ে না। এটা আমাদের দেশে আরও বেশি হতে পারে। কিন্তু ইংরেজি শেখার জন্য বই পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে ইংরেজির দক্ষতার ভিন্ন স্তর, যেমন রিডিং, স্পিকিং এগুলোর বেশ ভালোই উন্নতি হয়ে থাকে।
এছাড়াও IELTS এর প্রস্তুতি হিসেবে ইংরেজি লেখার প্র্যাক্টিস করতে হবে। ভোকাবুলারি প্রস্তুতির জন্য আয়ত্তে আনতে হবে IELTS লেভেলের অনেক শব্দও।
স্পোকেন ইংলিশের জন্য নিয়মিত ইংরেজি কথা বলা চর্চা করতে হবে, জেনে নিতে হবে ইংরেজি শব্দের সঠিক ও নির্ভুল উচ্চারণ। বন্ধুদের সাথে ইংরেজি প্র্যাক্টিস করা বেশ কাজে আসে। আয়নার সামনে বাস্তবে কথা বলার প্র্যাক্টিস করেও স্পোকেন ইংলিশের দক্ষতা বাড়ানো যায়।
যাই হোক, সবার জন্য IELTS পরীক্ষার জন্য থাকলো অনেক শুভ কামনা! ❤️