নবীজি সা. বলেছেন, ‘বদ নজর সত্য।’ (সহিহ মুসলিম) অর্থাৎকেউ যদি কোনো কিছুর দিকে অতিমুগ্ধ বা হিংসাত্মক দৃষ্টিতে তাকায়, নজর দেয়, তাহলে ওই নজরের কারণে ওই ব্যক্তি বা বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে গ্রামাঞ্চলে বদ নজর কাটানোর অনেক ভুল পদ্ধতি প্রচলিত আছে। বদ নজর থেকে বাঁচতেও ধারণাপ্রসূত ভিত্তিহীন পন্থা অনেকে অনুসরণ করে থাকেন।
বদ নজর থেকে বাঁচতে যা করবেন :
6
Tasks
১. বদ নজর লেগে গেলে যার বদ নজর লেগেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে তার হাত মুখ ধোয়া বা ফুঁ দেওয়া পানি বদ নজর লাগা বস্তুর ওপর ঢেলে দিন অথবা বদ নজর লাগা ব্যক্তিকে গোসল করিয়ে দিন।
Once
২. নিয়মিত সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করুন। সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে ওই পানি বদ নজর লাগা ব্যক্তি বা বস্তুর ওপর ঢেলে দিন।
Once
৩. বদ নজর লাগা ব্যক্তির জন্য এভাবে দোয়া করুন
بِسْمِ الله أرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ، بِسمِ اللهِ أُرقِيكَ
আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি- সে সব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নযর থেকে আল্লাহ আপনাকে শিফা দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি। -সহিহ মুসলিম
Once
৪. বদ নজর থেকে বেঁচে থাকতে নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করুন :
أعوذ بكلمات الله التامة من كل شيطان وهامة ومن كل عين لامة
আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাত দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি। -সহিহ বুখারী
Daily 1x
৫. সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে পাঠ করুন :
بسم الله الذي لا يضر مع اسمه شيء في الأرض ولا في السماء وهو السميع العليم
আমি শুরু করছি সেই আল্লাহর নামে যার নামের সাথে পৃথিবীর ও আকাশের কোন জিনিস ক্ষতি সাধন করতে পারে না এবং তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা। -সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিযী
Daily 2x
৬. কোনো কিছু দেখে ভালো লাগলে সুবাহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, মাশাআল্লাহ বলুন। তাহলে আপনার নজরের ক্ষতিকর প্রভাব ওই ব্যক্তি বা বস্তুর ওপর পড়বে না।